( পর্ব-2) জিৎ বাগ
এদিকে কুকু ডাক শুনতে পাচ্ছি ঘরের বাইরে থেকে। সে যেন কত সবার সাথে কথা বলছে। বারান্দায় গিয়ে দেখি পাখিগুলো আমাদের মতই কথা বলছে। তারা আমার দিকে দেখে বলছে ঋষি আমাদের সঙ্গে খেলবে। তোমরাও আমাদের মত কথা বলতে পারো। হ্যাঁ, আমরাও তোমাদের মত কথা বলতে পারি, আর এই গাছটাও।আমি তা শুনে অবাক হয়ে বললাম গাছেরও কি প্রাণ আছে নাকি যে গাছ কথা বলবে। সঙ্গে সঙ্গে এই গাছটা বলে উঠলো কেন শুধু মানুষেরই প্রাণ থাকতে পারে? আমাদের কি কোন প্রাণ নেই।ঈশ্বর আমাকে তোমাকে এক ই ভাবে গড়ে তুলেছে, শুধু তুমি হাঁটাচলা করতে পারো আমি হাঁটাচলা করতে পারি না। এইসবের মধ্যেই আমার মনে পড়ে গেল মা-বাবার কথা।আমি বললাম সেই গাছটাকে পাখিগুলোকে যে আমার মা বাবা এখানে সবাই অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে ওরা কেউ কথা বলছে না।
এটা কেন হচ্ছে আমায় কেউ কোন ডাক্তার বলে দাও যার কাছে আমি যেতে পারি। আমার মা বাবাকে আমি যাতে ঠিক করতে পারি।গাছ হেসে বলল শুধু তোমার মা বাবা নয় এ পৃথিবীর সকল মানুষই আজ অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে এরা কেউই আজ উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা রাখে না। কারণ এতদিন মানুষেরা আমাকে এই নির্জীব জীবজন্তুদের অনেক অত্যাচার করেছে। কিন্তু ঈশ্বর আমাদের যে শক্তি দিয়েছে, যে বলার ক্ষমতা দিয়েছে তা আজ আমরা কাজে লাগাচ্ছি। তোমরা মানুষের কত জীবজন্তুর ঘর নষ্ট করেছ,আমার থেকেই প্রাণবায়ু নিয়ে আমাকেই কেটে ফেলেছো, আমার কত বন্ধুবান্ধবরা আজ এই পৃথিবীতে নেই মানুষেরা তাদের নোংরা স্বার্থে আমাদের কেটে ফেলেছে। আমার পরিবারকে নষ্ট করে ফেলেছে আর তোমার পরিবারও সেটাই কালকে করতে যাচ্ছে। তাই আমি এই প্রাণ বায়ু দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। এই প্রাণবায়ু আমি আর কাউকে দেবো না শুধু মাত্র এই জীব জন্তুরাই পাবে। মানুষের এই পৃথিবীতে না থাকাই এই পৃথিবীর স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে এনেছে। তুমিই বলো তোমাদের ঘর থাকতেও তোমরা এই জায়গাটা কিনে আমাকে কাটবে বলে ঠিক করেছ আমার ডালে যে পাখিগুলো বাসা করে আছে এদের ঘর ভাঙবে বলে ঠিক করেছ এটা কি ঠিক।কিন্তু বাবা যে বলল আমাদের একটি নতুন বাগান বাড়ি তৈরি করা হবে তাইতো তিনি এই জায়গাটি কিনছেন। তাই শুধু শুধু অর্থের দম্ভে জীবেদের বাসস্থান ধ্বংস করা মানুষদের স্বভাবে পরিণত হয়েছে। নিজেদের থাকার জায়গা থাকতেও তাতে কুলাচ্ছে না।তাই ওদের এই শাস্তি ভোগ করতে হবে ওরা বুঝুক যে এতদিন চুপ থাকা গাছ জীবজন্তু কতটা কষ্ট পেয়েছে। এই পৃথিবীতে এখন আমরা রাজ করব আসলে গাছ ছাড়া এই মানুষগুলোর কি অবস্থা হতে পারে এরা সেটা জেনেও না জানার ভান করেছে। আমি আর কখনোই প্রাণ বায়ু এই মানুষদের সাথে ভাগ করে নেব না। এরা নিজেদের হাতেই নিজেদের মৃত্যু ডেকে নিয়ে এসেছে। তাহলে ..........
0 মন্তব্যসমূহ