ভূমিকা: প্রকল্প কি?
কোনো একটি
বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এবং সুপরিকল্পিত পরীক্ষার বা মূল্যায়ন এর মাধ্যমে যে কার্য
সম্পাদন করা হয় তাকে প্রকল্প বলা হয়ে থাকে।
প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা :একটি
প্রকল্প তরী করার মধ্যে দিয়ে ছাত্র ছাত্রী দের বিচারবুদ্ধির ক্ষমতা এবং পর্যবেক্ষণ
এর ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সকল বিদ্যার্থী দের মধ্যে একসাথে কাজ করার মানসিকতা তৈরি
হয়। প্রকল্পের বিষয় গুলি সব সময় বই কেন্দ্রিক না হওয়ায় ছাত্র ছাত্রীরা বই এর
বাইরের জ্ঞান গুলিও অর্জন করতে পারে।
গ্ৰন্থাগার এর
ধারণা:
ইংরেজি
প্রতিশব্দ ’Library’
শব্দটির
উৎপত্তি হয়েছে ল্যাটিন শব্দ ’Liber’ থেকে। ‘Liber’ শব্দটি থেকে এসেছে যার অর্থ ‘বই রাখার স্থান’। গ্রন্থাগার
বলতে এমন একটি স্থানকে বোঝায় যেখানে সকল ধরণের ব্যবহারকারীর জন্য গ্রন্থ বা জ্ঞান
সমৃদ্ধ অন্যান্য সংগৃহিত সামগ্রী পদ্ধতিগতভাবে সংরক্ষিত থাকে এবং প্রয়োজন
অনুযায়ী যে কেউ তা ব্যবহার করতে পারে। গ্রন্থাগারে মানুষের তথ্যসেবা ও
জ্ঞানার্জনের জন্য জ্ঞানসমৃদ্ধ বই ও অন্যান্য সামগ্রী পরিকল্পিত ও সুষ্ঠভাবে
সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিতরণ করা হয়।
এক
কথায়, গ্রন্থাগার বলতে সাধারনত
যেখানে তথ্য সামগ্রী সংগ্রহ করা হয়, সংরক্ষণ করা হয় এবং চাহিদা
অনুযায়ী
দ্রুত পাঠককে প্রদান করা হয় তাকেই বোঝায়।
পর্যবেক্ষণ:
গ্ৰন্থাগার এর প্রয়োজনীয়তা:
·
গুণগত শিক্ষা অর্জনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো গ্রন্থাগার। শুধুমাত্র
পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে পরিপূর্ণ শিক্ষালাভ কখনই সম্ভব নয়। পাঠ্যবই শুধু পরীক্ষা পাসের সনদ দেয়, জীবনের জন্য অপরিহার্য পরিপূর্ণ শিক্ষা
দেয় না।
·
পরিপূর্ণ ও যুগোপযোগী শিক্ষার জন্য আমাদের দেশের প্রতিটি বিদ্যালয়ে সুসংগঠিত
গ্রন্থাগার অপরিহার্য।
·
যুগে যুগে যে জাতি যত শিক্ষার আলো পেয়েছে
সে জাতি তত উন্নত জাতি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। মূলত গ্রন্থাগার হলো তথ্যভান্ডার। সুতরাং
শিক্ষার সহযোগিতায় গ্রন্থাগারের কোন বিকল্প নেই।
সিদ্ধান্ত:
ছাএজীবনে গ্ৰন্থাগার।
শিক্ষার্থীদের
নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশ ঘটে। গ্রন্থাগারে বিভিন্ন লেখকের, বিভিন্ন সময়ের, বিভিন্ন প্রেক্ষাপটের, বিভিন্ন বিষয়ের, বিভিন্ন দৃষ্টিকোণের লেখা বই
থাকে। ভিন্ন ভিন্ন ধরণের এইসব বই পড়ে একজন পাঠক বহুমাত্রিক দৃষ্টিকোণ ও
দৃষ্টিভঙ্গী অর্জন করে।
গ্রন্থাগার
শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে সহায়তা করে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের
পাঠ্যাভাস গড়ে উঠে। তাদের নিজস্ব রুচি ও চাহিদা অনুসারে জ্ঞানার্জনের সুযোগ
সৃষ্টি হয় ফলে স্ব-শিখনে উৎসাহিত হয়।
শিক্ষকদের
যথাযথ প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা গ্রহণে সহায়তা করে। এর পাশাপাশি বিষয়জ্ঞানে সমৃদ্ধ
হতে পারেন যা শ্রেণিকক্ষে শিক্ষককে আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে সাহায্য করে।
শিক্ষার্থী
ও শিক্ষকদের নিয়মিত পাঠাভ্যাস গঠনে সহায়তা করে ফলে পড়াশুনার প্রতি ইতিবাচক
মনোভাব গঠন হয়।
গ্রন্থাগারে
ব্যবহারে ব্যক্তির শৃঙ্খলাবোধ তৈরি হয় পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য শ্রেণির স্বাভাবিক
কাজকর্মে কোন ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে না।
তোমার
মতামত: স্থানীয় এলাকায় গ্ৰন্থাগার ভ্রমণ ও তোমার মতামত|
0 মন্তব্যসমূহ