ADS

ঈশান পুরের আতঙ্ক( পর্ব-4)

               ঈশান পুরের আতঙ্ক( পর্ব-4)                             জিৎ বাগ

সঙ্গে সঙ্গে এক বিকট শব্দে সেই চিৎকার করে উঠলো এবং তার সঙ্গে চিৎকার করে একটি পুরুষ কন্ঠ। যা জমিদার বাড়ির উত্তর দিকে ছোট গাছ পালার মধ্যে থেকে ভেসে এলো গুরুদেব বুঝতে পারলেন কেউ অশরী কে তাকেই হত্যা করার উদ্দেশ্যে কেউ পাঠিয়েছিল। তৎক্ষণাৎ গুরুদেব জমিদারকে ডেকে বললেন এ গ্রামে কেউ কি টুকটাক করে এ বিষয়ে খোঁজ নিতে বললেন এখন গ্রামের সবাই জানতো যে রঘুতান্ত্রিক এইসব বিষয়ে সিদ্ধ হস্ত। সঙ্গে সঙ্গে জমিদার মশাই তাকে গ্রেপ্তার করার আদেশ দিলেন তাকে নিয়ে আসা হল জমিদার বাড়ির বিচার সভায়। জমিদার মশাই তাকে প্রাণ নাসের হুমকি দেন এতে ভয় পেয়ে সে সবকিছু বলে দেয় যে তার মেয়ে ডাকনুতন্ত্র সিদ্ধ হওয়ার জন্য এই সকল নরবলি দিচ্ছে। এবং সেও তার মেয়েকে সাহায্য করছে তাই যখন সে শুনেছে যে গ্রামে গুরুদেব এসেছে এ সকল বিষয়ে এর সমাধান করতে চেয়ে তাতে ভয় পেয়ে এক পিশাচীকে তাকে হত্যা করতে পারে গ্রামের সকলেই হতবাক হয়ে পড়ে এইসব শুনে জমিদার মশাই তাকে কারাগারে নিক্ষেপ করার আদেশ দেয় এবং গুরুদেব বুঝতে পারেন যে সামনে আমাবস্যা ও পূর্ণিমার সন্ধিলগ্নে সঞ্চিতা তার সাধনায় সিদ্ধ লাভ করবে কিন্তু সমস্যা হল সেটা হতে আর বেশি দেরি নয়।

কালি এই সন্দি লগ্ন হতে চলেছে তাই কোন দেরি না করেই রাতেই জমিদার মশাই কে পূজার বিভিন্ন সামগ্রিক এর তালিকা দিয়ে দিলেন এবং এগুলো ভোর এল মধ্যেই   তৈরি রাখতে বলেন। সকালে গুরুদেব  এবং জমিদার ও গ্রামের মানুষরা জঙ্গলের উদ্দেশে রওনা দেন। তবে রঘু তান্ত্রিক কোনো উপায়ে তার মেয়েকে আগাম সতর্ক করে দিতে সক্ষম হয়েছিল তাই সঞ্চিতা জঙ্গলের চারিদিকে বিভিন্ন বলয়ে জঙ্গলে যেন কোন শক্তি প্রবেশ না করতে পারে তার ব্যবস্থা করে ফেলেছিল তাই গুরুদেব জঙ্গলে কোনভাবেই প্রবেশ করতে পারছিলাম না। কারণ সেখানে নানা অপশক্তি তাকে বাধা দিচ্ছিল প্রবেশে। কিন্তু গুরুদেব ও হার মানার পাত্র নয় তিনি তার বিভিন্ন তন্ত্র মন্ত্র দিয়ে এই সকল অপশক্তিগুলো কে নষ্ট করতে করতে এগিয়ে যাচ্ছিল জঙ্গলের মধ্য অঞ্চলে তাই কিন্তু জঙ্গলের বিস্তার এতটাই যে তার মধ্যে অঞ্চলে মধ্যাঞ্চলে পৌঁছানো খুবই মুশকিল হয়ে পড়েছিল তাই সেখানে প্রায় রাত হয়ে যায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ